বরগুনার তালতলীতে রাতের আঁধারে বেহালা-শানুর বাজার খালে নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ। ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষদের। এ ব্রিজটি প্রায় ১৫ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বলে জানা গেছে।

স্থানীয় প্রকৌশলী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের বেহালা-শানুর বাজার খালের উপর ব্রিজটি প্রায় ২০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। এরপর থেকে আর কোনো সংস্কার হয়নি এটিতে। এ ব্রিজটি দিয়ে ওই এলাকার ১০ গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষ তালতলী সদর বাজারসহ জেলা শহরে চলাচল করেন।

একই সঙ্গে বেহালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী আসা-যাওয়া করে। ব্রিজটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় লোহার এঙ্গেলগুলো লোনা পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ব্যাহত হচ্ছে তাদের লেখাপড়া। এছাড়া ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ।

মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, ব্রিজটি সম্পূর্ণ ধসে খালের পানির মধ্যে পড়ে আছে। আর ব্রিজটির দুই পাড়ে স্কুলশিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা হাটবাজারে যাওয়ার জন্য পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। পারাপারের জন্য ঝুঁকি নিয়েই ডিঙি নৌকায় খাল পার হচ্ছেন। ওই দুই ইউনিয়নের ৮ হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য ব্রিজটিই একমাত্র মাধ্যম ছিল।

শানু হাওলাদার নামে এক বাসিন্দা বলেন, এ ব্রিজটি প্রায় ১৫ বছরেরও বেশি সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। স্থানীয়রা সংস্কার করে দীর্ঘ দিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছে। পরে একাধিকবার নতুন ব্রিজ নির্মাণের আবেদন করা হলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রকৌশলী বিভাগ। তাই দ্রুত নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা দরকার।

তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মদ আলী বলেন, ব্রিজটি পুননির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন বরাদ্দের জন্য অপেক্ষা করছি। এর ভেতরেই ব্রিজটি ভেঙে গেছে। তবে বরাদ্দ খুব শীঘ্রই পেয়ে যাব। বরাদ্দ পেলেই ব্রিজটি নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের চলাচলের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।